দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান, ভালো মলম, এন্টিবায়োটিক
ত্বকে দাউদের সমস্যা অনেকেরই হয়। দাউদ এমন একটি রোগ যা সহজে নিরাময় হয় না। দাউদ নিরাময় করতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। অনেকে দাউদে সাবান ব্যবহার করবেন বলে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জানতে চান। দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম জেনে আপনি ব্যবহার করে দাউদের সমস্যা থেকে সুস্থ হতে পারবেন।
দাউদ চুলকানির মত একটি রোগ। এটি চামড়ার উপরের অংশে হয়। দেখতে অনেকটা ঘামাচির মত। এ রোগ হলে দাউদের মাঝখানে ভালো হয়ে যায় এবং চারিদিকের অংশ আস্তে আস্তে বাড়তেই থাকে। ঔষধপত্র কোন কিছু খেয়েই ভালো হওয়ার নামই নেয় না। অনেকে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান, দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম জেনে ব্যবহার করবেন বলে খোঁজ করেন। আজকের আর্টিকেলটিতে দাউদ রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি বিষয়ে থাকছে সঠিক তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান - দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম
.
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান
অনেকেই দাউদের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে খোঁজ করেন। দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান ব্যবহার করে সহজে দাউদ নিরাময় করতে পারবেন। দাউদ একটি ত্বকের সংক্রমণ যা মূলত ফাঙ্গাসের কারণে হয়। দাউদ ত্বকের বিভিন্ন অংশে চুলকানি, লালচে দাগ, গোলাকার আকৃতির দেখা দেয়।
দাউদ প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসায় বিশেষ কিছু মেডিকেটেড সাবান ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। দাউদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু সাবান রয়েছে। এ সাবানগুলো ব্যবহার করে দাউদের সমস্যা থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। নিচে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবানের তালিকা দেওয়া হলোঃ
- নাইজরল সাবান
- সেটাফিল জেন্টল ক্লেনজিং বার
- মেডিসোপ প্লাস
- ডেটল মেডিকেটেড সাবান
- টেটমোসোল সাবান
- সালফার সাবান
- কেটোকোনাজোল সাবান
প্রিয় পাঠক উপরে বেশ কিছু দাউদের চিকিৎসায় সবচেয়ে ভালো সাবানের তালিকা দিয়েছি। আপনি এই সাবানগুলো ব্যবহার করে দাউদের সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন। প্রতিদিন গোসলের সময় সাবান দিয়ে দাউদের সংক্রমিত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। গোসল শেষে দাউদের সংক্রমিতি স্থান ভালো হবে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
সাবান ব্যবহারের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম ও ঔষধ সেবন করুন। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই দাউদ নিরাময় করতে পারবেন। আশা করি দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান এর নাম জানতে পেরেছেন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম
দাউদ একটি ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ। ত্বকে এই সংক্রমণ দেখা দিলে সাধারণত লালচে ভাব গোলাকার আকৃতি এবং তীব্র চুলকানির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। দাউদের চিকিৎসায় মলম ব্যবহার করে সুস্থতা পাওয়া যায়। অনেকেই দাউদের চিকিৎসা মলম ব্যবহার করবেন বলে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম, দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জানতে চান।
বাজারে বেশ কিছু মলম পাওয়া যায় যেগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে সব মলম ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। সেই মলম গুলো ব্যবহার করে তৎক্ষণাৎ উপকারিতা পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে পুনরায় আবার দাউদ হয়। তবে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম জেনে আপনি ব্যবহার করলে দ্রুত সুস্থতা পাবেন। নিচে বেশ কিছু দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম এর তালিকা দেওয়া হলঃ
- কেটোকোনাজোল মলম
- টেরবিনাফাইন মলম
- ক্লোট্রিমাজোল মলম
- মিকোনাজোল মলম
- ফ্লুকোনাজোল মলম
- ইট্রাকোনাজোল মলম
- লুলিকোনাজোল মলম
- সালিসাইলিক অ্যাসিড মলম
- বিউটেনাফাইন মলম
- সারটাকোনাজোল মলম
প্রিয় পাঠক উপরে বেশ কিছু দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম এর তালিকা দিয়েছি। উপরের প্রত্যেকটি মলময় এন্টিফাঙ্গাল। এই মলমগুলো দাউদের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। দাউদ নিরাময়ের জন্য এই মলমগুলো বেশ উপকারী। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই মলমগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করুন। আশা করি দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম জানতে পেরেছেন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ
অনেকেই দাউদের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন সঠিক পরামর্শের অভাবে অথবা সঠিক চিকিৎসার অভাবে সুস্থ হতে পারছেন না। বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে ঘরোয়া উপায়ে ঘরোয়া ঔষধ তৈরি করে দাউদে ব্যবহার করলে দ্রুত সুস্থ হবেন। দাউদ একটি ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। তাই প্রথমে ছত্রাক জনিত সংক্রমণ দূর করার উপাদান গুলো দাউদে ব্যবহার করতে পারেন।
রসুন এন্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। দাউদের সংক্রমণ স্থানে প্রতিদিন নিয়মিত রসুনের পেস্ট তৈরি করে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন এতে ছত্রাক ধ্বংস হবে। নারিকেল তেল দাউদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নারিকেল তেল দাউদের সংক্রমণ প্রশমিত করে দাউদের সংক্রমিত স্থানে নারিকেল তেল দুই থেকে তিনবার প্রয়োগ করুন।
এলোভেরা জেল চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে দাউদের সংক্রমিত স্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও আন্টিফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত দাউদে হলুদ গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে সংক্রমিত স্থান থেকে ছত্রাক ও জীবাণু দূর হয়। আপনি উপরে দেওয়া এই উপায় গুলো অনুসরণ করে সহজে ঘরে বসে দাউদের চিকিৎসা করতে পারবেন।
পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা
অনেকের শরীরে দীর্ঘদিন ধরে দাউদ চুলকানি হয়ে থাকে। অনেক ওষুধ সেবন করার পরেও দাউদ নিরাময় করতে পারেন না। পুনরায় দাউদ ও চুলকানি ঔষধ সেবন করার পরেও আবার হয়। তাই নিয়মিত অনেকে পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। পুরাতন দাদ মূলত ছত্রাক ধনিত সংক্রমণ। সঠিক চিকিৎসা না করলে পুরাতন দাউদ বারবার ফিরে আসে।
পুরাতন দাউদ নিরাময়ের জন্য কার্যকর ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন। প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ সেবন করুন। পাশাপাশি এন্টিফাঙ্গাল মলম, ইনজেকশন চিকিৎসকের পরামর্শে নিন। এন্টিবায়োটিক, ঔষধ, এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করে সহজে দাউদ নিরাময় করতে পারবেন। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে রসুন পেস্ট,
আপেল সিডার ভিনেগার, নারিকেল তেল দিনে দুই থেকে তিনবার সংক্রমিত স্থানে লাগান। দাউদের সংক্রমিতি স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান দাউদের সংক্রমিতি স্থানে ব্যবহার করুন। আশা করি পুরাতন দাউদ দ্রুত নিরাময় হবে।
দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম
বাজারে বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। অনেকেই দাউদের সমস্যা থেকে নিরাময়ের জন্য দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম জানতে চান। দাউদের চিকিৎসায় বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে সহজে দাউদ নিরাময় করা যায়। দাউদ ছত্রাক জনিত সংক্রমিত রোগ।
দাউদের চিকিচায় এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করা হয়। বাজারে বেশ কিছু দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম পাওয়া যায়। নিচে সবচেয়ে ভালো দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম দেওয়া হলঃ
- কেটোকোনাজোল মলম
- টেরবিনাফাইন মলম
- ক্লোট্রিমাজোল মলম
- মিকোনাজোল মলম
- ফ্লুকোনাজোল মলম
- ইট্রাকোনাজোল মলম
- লুলিকোনাজোল মলম
- সালিসাইলিক অ্যাসিড মলম
- বিউটেনাফাইন মলম
- সারটাকোনাজোল মলম
দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ
দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ তা অনেকেই জানেন না। দাদ মূলত ছত্রাক জনিত ত্বকের সংক্রমণ। দাউদ হলে সংক্রমিত স্থানে প্রচুর পরিমাণে চুলকায়। এই চুলকানি দূর করতে ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ায় এরকম খাবার পরিহার করা প্রয়োজন। দাউদ হলে বিশেষ করে মিষ্টি খাবার পরিহার করা প্রয়োজন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ছত্রাকের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার খাওয়া পরিহার করুন এগুলো ফাঙ্গাল সংক্রমণ বৃদ্ধি করে। এছাড়া অ্যালকোহল গ্রহণ করলে সেগুলো পরিহার করুন। অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে। দাউদে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, তাজা ফল, সয়া মিল্ক, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
দাউদের এন্টিবায়োটিক
দাউদ একটি ছত্রাক জনিত সংক্রমণ। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় না। তাই দাউদ হলে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন হয় না। তবে দাউদের সংক্রমিত স্থানে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়। অনেকে নিয়মিত দাউদের সমস্যা দূর করতে এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে চান।
কিন্তু কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করবেন সে সম্পর্কে জানেন না। দাউদের জন্য এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ অত্যন্ত উপকারী। দাউদের মূল চিকিৎসায় এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহারিত হয়। এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে কার্যকর। নিচে দাউদের অ্যান্টিবায়োটিকের নামের তালিকা দেওয়া হলঃ
- কেটোকোনাজোল
- টেরবিনাফাইন
- ইট্রাকোনাজোল
- ক্লোট্রিমাজোল
- মিকোনাজোল
দাউদের সাবানের নাম
অনেকেই দাউদের চিকিৎসায় দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম, দাউদের সাবানের নাম সম্পর্কে জানতে চান। দাউদের চিকিৎসায় ক্রিম, ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক, সাবান অত্যন্ত কার্যকরী। দাউদের সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকেরা বেশ কিছু সাবান ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এই সাবানগুলো দাউদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিচে দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দাউদের সাবানের নাম এর তালিকা দেওয়া হলঃ
- নাইজরল সাবান
- সেটাফিল জেন্টল ক্লেনজিং বার
- মেডিসোপ প্লাস
- ডেটল মেডিকেটেড সাবান
- টেটমোসোল সাবান
- সালফার সাবান
- কেটোকোনাজোল সাবান
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
অনেকেই দাউদের চিকিৎসা মলম ব্যবহার করবেন বলে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সম্পর্কে জানতে চান। বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির মলম পাওয়া যায় যেগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে সব মলমগুলোই ভালো নয়। কিছু মলম দাউদে ব্যবহার করে সুস্থতা পাওয়া যায়। আর কিছু মলম ব্যবহার করে সাময়িক সময়ের জন্য সুস্থতা,
পাওয়া গেল পরবর্তীতে পুনরায় দাউদ আবার হয়। তাই দাউদের চিকিৎসায় সবচেয়ে ভালো মলম ব্যবহার করা প্রয়োজন। দাউদের চিকিৎসায় সবচেয়ে ভালো মলম হলো কেটোকোনাজল মলম, টেরবিনাফাইন মলম, বিউটেনাফাইন মলম। আপনি আপনার দাউদ নিরাময়ের জন্য এ মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া উপরে বেশ কিছু মলমের নাম দেওয়া রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে চিরতরে দাউদ দূর করা যায়।
লেখকের মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান ও দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম সম্পর্কে জানিয়েছি। আপনি এই মলম ও সাবান ব্যবহার করে পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে দাউদের মতো সমস্যা থেকে সুস্থ হতে পারবেন। প্রত্যেকটি ওষুধ সেবনের পূর্বে অথবা ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
আশা করি আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।