ওলট কম্বলের ডাটার ২০টি অপকারিতা, উপকারিতা, গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত
ওলট কম্বল গাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি ওলট কম্বলের ডাটার উপকারিতা ও রয়েছে। তাই আপনি ওলট কম্বল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা গুলো জেনে নিন। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা, ওলট কম্বল গাছ সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর থাকছে আজকের আর্টিকেলটিতে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওলট কম্বল গাছের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ওলট কম্বল একটি ঔষধি গাছ। ওলট কম্বলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা, ব্যবহারের নিয়ম, খাওয়ার নিয়ম প্রত্যেকটি বিষয় জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা - ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা
.
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওলট কম্বল গাছের ব্যবহার
প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওলট কম্বল গাছ ব্যবহারিত হয়ে আসছে। ওলট কম্বল গাছের শেকড়, বাকোল, বীজ, পাতা, ছাল, ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী ওলট কম্বল শেকড় শুকিয়ে চূর্ণ করে সকালে ও সন্ধ্যায় গরম পানি সঙ্গে খেলে মহিলাদের ঋতুস্রাবের ব্যথা প্রশমিত হয়।
নিয়মিত মহিলারা ওলট কম্বল গাছের শিকড়ের রস সেবন করলে জরা*য়ুর গঠন উন্নত এবং হরমোনাল ভারসাম্য বজায় থাকে। মহিলাদের হরমোন জনিত সমস্যা দূর করতে ওলট কম্বল অত্যন্ত কার্যকর। যে সকল মহিলাদের ঋতু*স্রাবে ব্যথা হয় সকল মহিলারা ওলট কম্বলের শিকড়ের রস সেবন করলে ব্যথা উপশম হয়।
পুরুষ ও মহিলাদের শারীরিক ও দুর্বলতা, ক্লান্তি দূর করতে ওলট কম্বলের শেকড় অত্যন্ত কার্যকরী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী শিশুর জন্মের পর গর্ভবতী মা কে ওলট কম্বল বীজের চূর্ণ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
উলট কম্বল গাছের উপকারিতা
ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা গুলো অনেকেই জানেন না। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক, ইউনানী, লোক চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে ওলটকম্বল গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে। ওলট কম্বল গাছ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ভেসজ গাছ। ওলট কম্বল গাছের মূল, ছাল, পাতা, বীজ, ফুল ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ।
ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি হলো মেয়েদের শারীরিক সমস্যা নিরাময় করে। অনিয়মিত ঋতু*স্রাব, ঋতু*স্রাব বন্ধ থাকা, জরা*য়ুর সমস্যা, বন্ধ্যাত্ব ও প্রসবকালীন বিভিন্ন সমস্যায় এটি অত্যন্ত সহায়ক। মহিলাদের ঋতু*স্রাব কালীন ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে ওলট কম্বলের সালের নির্যাস অত্যন্ত উপকারী।
মহিলা ও পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে মানসিক ক্লান্তি অবসাদ দূর করতে ওলট কম্বলের রস অত্যন্ত কার্যকরী। ওলট কম্বলের রস নিয়মিত সেবন করলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। গর্ভবতী মহিলার প্রসবের পর শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে ওলট কম্বলের রস অথবা ওলট কম্বলের বীজের চূর্ণ অত্যন্ত উপকারী।
ওলট কম্বলের রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ওলট কম্বলের রস শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ওলট কম্বলের রস এমন করলে পাকস্থলী ও পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর হয়। আশা করি ওলট কম্বলের উপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন।
ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায়
অনেকে ওলট কম্বল গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানেন কিন্তু এই গাছ চেনেন না বলে এর ঔষধি গুনাগুন গুলো জেনেও উপকার পান না। আমাদের বাংলাদেশ কিছু সংখ্যক লোক চিকিৎসক ওলট কম্বল গাছের চাষ করেন। আবার রাস্তার ধারেপাশে প্রচুর সংখ্যক ওলট কম্বলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে শহরাঞ্চলে এটি দেখা যায় না গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে, বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তার ধারে ওলট কম্বল গাছ জন্মায়। ওলট কম্বল গাছ ২-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ওলট কম্বল গাছের পাতা বড় এবং ডিম্বাকৃতির খসখসে খাজ কাটা ও আঁশযুক্ত। ওলট কম্বলের পাতা স্পর্শ করলে মনে হবে এটি কম্বলের মতো খসখসে। ওলট কম্বলের পাতার রং গাড় সবুজ এবং শেষের অংশে খাছ কাটা তীরের মত।
আরো পড়ুনঃ তুলসী পাতার রস কোন রোগে বেশি উপকারী জেনে নিন
ওলট কম্বলের গাছ চিকন শক্ত সরু ও লম্বা, খসখসে আঁশযুক্ত। ওলট কম্বল গাছে গাড়ো বেগুনি রঙের ফুল ফোটে। ওলট কম্বল গাছের ফুল দেখতে তারার মত ৫ পাপড়ি বিশিষ্ট হয়। ওলট কম্বলের ফল দেখতে লম্বাটে ও ক্যাপসুল এর মত। ওলট কম্বলের ফল পেকে গেলে ভিতরে কালো বীজ থাকে। ওলট কম্বলের মূল শক্ত এবং সাদা রংয়ের।
ওলট কম্বল গাছ কোথায় পাওয়া যায়
অনেকেই ওলট কম্বল গাছের ঔষধি গুনাগুন জেনে সেটি ব্যবহার করবেন বলে ওলট কম্বল গাছের খোঁজ করেন। ওলট কম্বল গাছ গ্রামাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে ওলট কম্বলের গাছ রাস্তার ধারেপাশে, বসতবাড়ির আশেপাশে, পুকুরের ধারে, ঝোপঝাড়ের আশেপাশে সবচেয়ে বেশি জন্মায়৷ গ্রামাঞ্চলের যে সকল লোকজনেরা কবিরাজি চিকিৎসা করে সে সকল লোকেরা ওলটকম্বল গাছ লাগিয়ে থাকেন।
আপনি যদি ওলট কম্বল গাছ অথবা বীজ সংগ্রহ করতে চান তাহলে গ্রামাঞ্চলের কবিরাজি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। অথবা আপনি নিচে থাকা ওলট কম্বল গাছের ছবি দেখে গ্রামাঞ্চলের আশেপাশে রাস্তার ধার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
আপনি যদি ওলট কম্বল গাছের সন্ধান না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, অথবা অনলাইন প্লাটফর্মের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আয়ুর্বেদিক মূলের গুড়ো সংগ্রহ করে সেবন করতে পারেন।
ওলট কম্বল গাছের ছবি
অনেকে ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা গুলো জেনে ওলট কম্বলে গাছের ঔষধি গুনাগুন নিতে চান। কিন্তু ওলট কম্বল গাছ চেনা না থাকাই ব্যবহার করতে পারেন না। ওলট কম্বল গাছ ২-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ওলট কম্বল গাছের পাতা বড় এবং খাট কাটা খসখসে। আপনাদের চেনার সুবিধার্থে নিচে ওলট কম্বল গাছের ছবি দেওয়া হলঃ
ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা
ওলট কম্বল গাছের যেমন ঔষধি গুনাগুন রয়েছে, ওলট কম্বল গাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও রয়েছে। ওলট কম্বল গাছের সঠিক ব্যবহার না জানলে আপনি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ওলট কম্বলের বীজ, মূল, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবহৃত হয় তবে ওলট কম্বলের ডাটা শেকড় ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
কেননা ওলট কম্বলের বীজ ও মূলে যে গুনাগুন থাকে তার চাইতে ওলট কম্বলের ডাটা বা শেকড়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা ব্যবহার করলে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা অনেক। নিচে ওলট কম্বলের ডাটার ২০টি অপকারিতা গুলো দেওয়া হলঃ
- গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর, গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে।
- অতিরিক্ত সেবনে পেটব্যথা হতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে।
- দীর্ঘদিন সেবনে পেটে হজমের সমস্যা তৈরি হয়।
- অরুচি ও ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
- ত্বকে এলার্জি ও চুলকানি হতে পারে।
- নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
- কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে লো ব্লাড প্রেসার তৈরি হয়।
- অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত সেবনে কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
- ঋতু*স্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হতে পারে।
- হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
- শিশুদের জন্য একেবারেই অনিরাপদ।
- বুক জ্বালাপোড়া ও এসিডিটির তৈরি করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বৃদ্ধি করে।
- শারীরিক দুর্বল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- শারীরিক ওজন কমে যাওয়া অথবা বৃদ্ধি হতে পারে।
- মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- শরীরে এলার্জি ও ফুসকুড়ি বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পেট ফাঁপা ও বদ হজম এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপরে ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা গুলোর তালিকা দিয়েছি। ওলট কম্বল আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহারিত হয়। ভুল মাত্রায় ব্যবহার করলে এই ওষুধগুলো বেশকিছু সমস্যা তৈরি করে। ওলট কম্বল অত্যন্ত শক্তিশালী ভেষজ গাছ। ওলট কম্বল কখনোই নিজে নিজে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ভুল ভাবে ব্যবহার করলে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করলে এটি একাধিক সমস্যা তৈরি করে। তাই ওলট কম্বল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন। আশা করি ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা
ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা রয়েছে। ওলট কম্বল বীজের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। ওলট কম্বল বীজ চূর্ণ মধু দিয়ে সেবন করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। ওলট কম্বল বীজের উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- অনিয়মিত ঋতু*স্রাব নিয়মিত করে
- বন্ধ্যাত্ব দূর করতে সাহায্য করে
- জরা*য়ুর টনিক হিসেবে ব্যবহারিত হয়
- হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে
- প্রসব পরবর্তী শারীরিক দুর্বলতা কমায়
- রক্ত শুদ্ধিকরণে সাহায্য করে
- মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক
- দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
- বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- যৌ*ন দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে
উপরে দেওয়া ওলট কম্বলের উপকারিতা গুলো কোন পরীক্ষিত নয় তবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। ওলট কম্বলের এই উপকারিতা গুলো পেতে হলে কখনোই নিজ থেকে ওলট কম্বল ব্যবহার করবেন না। ওলট কম্বল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন।
ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
অনেকে নিয়মিত ওলট কম্বলের উপকারিতা, ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা, ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। ওলট কম্বলের উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই ওলট কম্বল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন। আপনি বেশ কিছু উপায়ে ওলট কম্বল খেতে পারেন। ওলট কম্বল বিভিন্ন উপায় খাওয়া যায়। নিচে ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম গুলো দেওয়া হলঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েঃ ওলট কম্বলের ডাটা ভিজিয়ে রেখে এক ঘন্টা পর নির্যাস সেবন করুন।
পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর করতেঃ ওলট কম্বলের বীজ, অথবা ডাটা ভিজে রেখে সেবন করুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ওলট কম্বলের শিকড়ের চূর্ণ মধু দিয়ে সেবন করুন।
শারীরিক দুর্বলতা দূর করতেঃ ওলট কম্বলের শিকড় চূর্ণ অথবা বীজ চূর্ণ নিয়মিত দুধের সাথে খেতে পারেন।
শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেঃ উলট কম্বলের পাতা সেদ্ধ করে অথবা সালাত করে খেতে পারেন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ ওলট কম্বলের বীজ চূর্ণ, অথবা শেকড়ের রস সেবন করুন।
খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেঃ ওলট কম্বলের বীজ চূর্ণ ঘি অথবা মধু দিয়ে রাতে চিবিয়ে খান।
এছাড়া ওলট কম্বলের বীজ সারাদিনের যে কোন অংশে আপনি মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। ওলট কম্বলের শেকড় ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে থেকে শরবত হিসেবে সেবন করুন। ওলট কম্বলের ডাটা থেঁতো করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে আধাঘন্টা পর সেবন করুন। এছাড়াও আপনি আপনার রুচি মতো ইচ্ছে অনুযায়ী যেকোনো ভাবে খেতে পারেন।
ওলট কম্বল খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে কখনো মাত্রাতিরিক্ত খাবেন না। ওলট কম্বল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তাই ওলট কম্বল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
লেখক এর মন্তব্য
ওলট কম্বলের উপকারিতার বেশ কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণ রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষরা যে চিকিৎসায় ওলট কম্বল সেবন করেন এই চিকিৎসাগুলোতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই। ওলট কম্বলের এই উপকারিতা গুলো আয়ুর্বেদিক সূত্র ভিত্তিক। তাই কখনোই উলট কম্বলের বীজ, নির্যাস, পাতা, চূর্ণ, শেকড়, নিজে থেকে সেবন করবেন না।
যদি এর উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সেবন করুন। আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা, ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা, ওলটকম্বল গাছের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।