OrdinaryITPostAd

শেয়ার বাজার A to Z - শেয়ার বাজার কি, আয়, কেনার কৌশল

শেয়ার বাজার A to Z সম্পর্কে আপনি জানলে শেয়ার বাজারের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। শেয়ার বাজার কোন কোম্পানির শেয়ার বা মালিকানার অংশ। শেয়ার বাজারে একজন বিনিয়োগকারী একটি কোম্পানির অংশীদার কেনে অর্থ দিয়ে।
শেয়ার বাজার A to Z - নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার অনেকটা কঠিন। যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার বাজার A to Z সম্পর্কে জেনে নিন এতে আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। শেয়ারবাজার এমন একটি বাজার যেখানে আপনি সঠিক গাইডলাইন সঠিক দিকনির্দেশনা ছাড়া লাভবান হতে পারবেন না। আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শেয়ার বাজার A to Z - নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

.

শেয়ার বাজার কি

শেয়ার বাজার হলো এমন একটি বাজার যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনা বেচা করা হয়। আপনি অর্থ দিয়ে কোন কোম্পানির শেয়ারের একটি অংশ কিনতে পারবেন। কোন কোম্পানির শেয়ারকে না মানে আপনি সেখানে অংশীদার হলেন। আপনি শেয়ার কেনার মাধ্যমে ওই কোম্পানিতে অর্থ বিনিয়োগ করলেন। আপনি শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে অর্থ বিনিয়োগ করে পরবর্তীতে কোম্পানির আয়ের অংশীদার হতে পারবেন।

শেয়ার বাজার বাংলাদেশ

বাংলাদেশের শেয়ার বাজার অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বাংলাদেশের প্রধানত দুইটি শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। বাংলাদেশের এই দুইটি শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় হয়। এই দুইটি স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে। 
শেয়ার বাজার A to Z - নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার
শেয়ার বাজারের মূল উদ্দেশ্য হলো কোম্পানী গুলোর নিজস্ব পুঁজি জোগান। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে লাভ অর্জন। তবে বর্তমানে অনলাইন ট্রেনিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

শেয়ার বাজার এমন একটি পর্যায়ে যেখানে সঠিক সিদ্ধান্তে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। অন্যদিকে ভুল পদক্ষেপ বা ভুল সিদ্ধান্তে লস এর সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

শেয়ার বাজার A to Z

অনেকে শেয়ার বাজার A to Z সম্পর্কে জানতে চান। শেয়ার বাজারের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জানা থাকলে আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে পারবেন। শেয়ার বাজার এমন একটি মার্কেট যেখানে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমেই দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। অন্যদিকে ভুল সিদ্ধান্ত লসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। 
আপনি যখন শেয়ার ক্রয় করবেন তখন মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতির লক্ষ্য করে শেয়ার ক্রয় করুন। এতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অন্যান্য পক্ষ যেশিয়ার সবচাইতে বেশি ক্রয় করেছে সেই শেয়ার না কেনায় ভালো। শেয়ারবাজারে প্রথম অবস্থায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। ধীরে ধীরে যখন আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে সবকিছু বুঝে যাবেন তখন বেশি অর্থ বিনিয়োগ করুন। নিচে শেয়ার বাজার A to Z তথ্যগুলো দেওয়া হলোঃ

শেয়ার একাউন্টঃ শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগের জন্য প্রথমে একটি শেয়ার একাউন্ট তৈরি করতে হয়। তাই আপনি কোন কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে চাইলে প্রথমে শেয়ার এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে একটা শেয়ার একাউন্ট তৈরি করুন।

শেয়ার কেনার সময়ঃ শেয়ার কেনার সময় নির্বাচন করুন। এমন সময় শেয়ার ক্রয় করুন যখন বাজারের অস্থিরতা কম থাকে। কেননা বাজারের অস্থিরতা বেশি থাকলে শেয়ার ক্রয় করতে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হবে।

সঠিক সময়ঃ শেয়ার কেনার জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করুন। সঠিক সময় শেয়ার কিনলে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। শেয়ার কেনার সঠিক সময় এপ্রিল, অক্টোবর, নভেম্বর। এই মাস গুলোতে শেয়ার ক্রয় করলে লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

শেয়ার বিক্রয়ঃ শেয়ার ক্রয় করে সেই শেয়ার বিক্রয় করতে চাইলে অবশ্যই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা প্রয়োজন। আপনি শেয়ারকে না মাত্রই বিক্রয় করতে পারেন তবে তাৎক্ষণিক আপনি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু দীর্ঘ সময় শেয়ার স্টক রাখলে পরবর্তীতে ওই শেয়ার সবচেয়ে বেশি লাভ হয়।

অর্থ বিনিয়োগঃ শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই নতুন অবস্থায় অল্প অর্থ বিনিয়োগ করুন। ধীরে ধীরে অর্থ বিনিয়োগ করলে আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে পারবেন। আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি হবে। তাই শেয়ার বাজারে অল্প অর্থ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।

ধৈর্যধারণঃ শেয়ার বাজার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি শেয়ার কিনে দ্রুত বিক্রয় করলে খুবই কম লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি একটি শেয়ার ক্রয় করার পর সেটি দীর্ঘদিন পর বিক্রয় করলে বেশি লাভবান হতে পারবেন। তাই শেয়ার কিনে ধৈর্য ধারণ করুন। আপনার শেয়ার অনুযায়ী বিবেচনা করে শেয়ার বিক্রয় করুন।

লক্ষ্য ও ঝুঁকিঃ শেয়ার বাজার একটি ঝুঁকির প্ল্যাটফর্ম। আপনি এই প্লাটফর্মে যত বেশি ঝুঁকি নিতে পারবেন এতে দ্রুত লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান যেখানে আপনার লক্ষ্য ঠিক রেখে ঝুঁকি নিতে পারলেই সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই লক্ষ্য ঠিক রাখুন এবং ঝুঁকি নিন সফল হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগঃ শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কারী হোন। দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করলে প্রচুর লাভ হয়। স্বল্প মেয়াদের তুলনায় শেয়ার কিনে দীর্ঘ মেয়াদ স্টক রাখলে কয়েক গুণ বেশি লাভবান হওয়া যায়।

আয় ও ব্যায়ের হিসাবঃ শেয়ার ক্রয় করার পর ও শেয়ার বিক্রয় করার পর আয় ও ব্যয়ের হিসাব করুন। কেননা সঠিক হিসাব না করলে আপনি লাভ অথবা লস এর সম্মুখীন হতে পারেন। তাই শেয়ার বাজারে শেয়ার ক্রয় করার পর আয় ও ব্যয় সম্পর্কে সঠিক হিসাব রাখুন।
এছাড়া শেয়ার বাজার সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে চাইলে বিভিন্ন অনলাইনে কোর্স করতে পারেন। পাশাপাশি শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিভিন্ন বই রয়েছে সেই বইগুলো পড়ুন। শেয়ার বাজার সম্পর্কে কিছু ট্রেনিং করতে পারেন। ইউটিউবে বিভিন্ন শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রচুর ভিডিও রয়েছে যেগুলো দেখি আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে পারেন। 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নেওয়া। যারা পূর্বে শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিল সে সকল ব্যক্তিদের পরামর্শ নিন। আশা করি শেয়ার বাজার A to Z ধারণা পেয়েছেন।

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার ততটা সহজ নয় যতটা সবাই ভাবে। নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার কিছুটা কঠিন। কেননা নতুন অবস্থায় শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রত্যেকেরই সঠিক ধারণা থাকে না। তাই অন্যদের দিকে না তাকিয়ে শেয়ার বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের পরেই বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। নতুন রা শেয়ার বাজারে শেয়ার ক্রয় করতে চাইলে শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। 

আপনি যদি শেয়ার বাজারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার বাজার কি তা আগে ভালোভাবে বুঝুন। শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইলে কখনোই ধার করা টাকা বিনিয়োগ করবেন না। শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে হলে বিও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার বাজার বিশ্লেষণ করুন। 

ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শিখুন। নতুন অবস্থায় কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন। বেশি টাকা কখনোয় বিনিয়োগ করবেন না। শুধু গুজবের উপর ভিত্তি করে কখনো শেয়ার কিনবেন না৷ নিজের ওপর ইমোশন কন্ট্রোল করুন লোভ ও ভয় এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করুন। কোম্পানির ফিনান্সিয়াল রিপোর্টগুলো পড়ুন। 

শেয়ার কেনার সঠিক সময় নির্ধারণ করুন। দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। সর্বদা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শিখুন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে উপরে দেওয়া এ বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে সকল বিষয়গুলো জেনে রাখতে পারবেন। আশা করি নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।

শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়

শেয়ার বাজার A to Z ও নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে অনেকে জানেন না। আপনি হয়তো শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন কিন্তু সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায় সে সম্পর্কে জানেন না। শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত হয় কোম্পানির উপর ভিত্তি করে। ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে এর বিনিয়োগের পরিমাণ ভিন্ন রকম। 

তবে শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন ৫০০০-১০০০০ হাজার টাকার মধ্যেই বিনিয়োগ করতে পারবেন। প্রতিটি কোম্পানির স্টকের দাম দাম কম বেশি হয়৷ তাই বিনিয়োগের পরিমাণ শেয়ার স্টক এর উপর নির্ধারিত হয়।

শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে তা অনেকে জানেন না। শেয়ার ব্যবসা করতে সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা লাগে। এবং সর্বোচ্চ আপনি যত টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন শেয়ার ক্রেতা ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির উপর ভিত্তি করে অর্থ বিনিয়োগ করেন৷ এই অর্থের পরিমাণ কম অথবা বেশি হতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট অংক নেই। একজন শেয়ার ক্রেতা তার লক্ষ্য ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেন।

শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি শেয়ার বাজারে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শেয়ার বাজারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। শেয়ার বাজারে শেয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সরাসরি ব্রোকার অথবা সেয়ার কোম্পানির সাথে কথা বলেই একাউন্ট খুলতে পারবেন। শেয়ার একাউন্ট খোলার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। 

শেয়ার হিসাব খোলার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট এর ফটোকপি, নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। এই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আপনি সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে অথবা ব্রোকার এর মাধ্যমেই শেয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।

শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায়

শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায় তার কোন নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যখন ইচ্ছা তখন আপনার শেয়ার বিক্রয় করতে পারেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি যে ব্রোকারের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করেছেন সেই ব্রোকারের দেওয়া কিছু নিয়ম থাকতে পারে। ব্রোকার হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে আপনার হয়ে আপনার শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করবে। 

কিছু কিছু শেয়ার বিক্রয় ক্ষেত্রে কোন শেয়ার কেনার নির্দিষ্ট সময় পর বিক্রয় করতে হয়। আপনি যখন ইচ্ছা তখন শেয়ার বিক্রয় করতে পারবেন না এটাকে লক-ইন পিরিয়ড বলা হয়। শেয়ার কেনার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়পরই আপনি ওই শেয়ার বিক্রয় করতে পারবেন।

শেয়ার কেনার কৌশল

শেয়ার বাজার A to Z তথ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো শেয়ার কেনার কৌশল। শেয়ার কেনার কৌশল যত বেশি কাজে লাগাতে পারবেন আপনি তত দ্রুত মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। শেয়ার কেনার কৌশল গুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ করা। যে কোম্পানিগুলো ঋণ মুক্ত অথবা কম ঋণ রয়েছে এমন কোম্পানির শেয়ার কেনা। 

যে কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ট দেয় এমন কোম্পানি পছন্দ করা। যে কোম্পানির শেয়ার উচ্চ মূল্য বিক্রয় হয় সেই শেয়ারগুলো থেকে সতর্ক থাকা। অন্যান্য শেয়ারের তুলনায় তুলনামূলক কম মানসম্মত শেয়ার কেনা। সব সময় দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত থাকা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বড় বিনিয়োগকারী দের গতিবিধি লক্ষ্য করা। 

তারা যে কোম্পানির শেয়ার গুলো কিনেছে আপনিও চাইলে ওই কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে পারেন। এক শেয়ারে কখনো পুরোপুজি বিনিয়োগ করবেন না। আপনার শেয়ারে যদি লাভ হয় তাহলে সেটি ধাপে ধাপে বিক্রয় করুন। আপনি উপরে দেওয়া এই কৌশল গুলো অনুসরণ করে শেয়ার ব্যবসায় দ্রুত লাভবান হতে পারবেন৷

শেয়ার কেনার উপযুক্ত সময়

শেয়ার কেনার উপযুক্ত সময় নির্বাচন করতে পারলেই আপনি শেয়ার ব্যবসায়ী দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। শেয়ার কেনার জন্য সঠিক সময় হল এপ্রিল, অক্টোবর, নভেম্বর মাস৷ এই মাসগুলোতে শেয়ার ক্রয় করলে লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া বাজারের যখন বড় পতন লক্ষ্য করবেন তখন শেয়ার কিনুন। 

যখন ভালো কোম্পানি গুলোর শেয়ার কম দামে পাওয়া যায় তখন শেয়ারকে না বুদ্ধিমানের কাজ। আবার যখন কোন কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল শক্তিশালী হয় তখন শেয়ার কিনতে পারেন। যদি লক্ষ্য করেন কোন কোম্পানির আয় বা মুনাফা বাড়ার প্রবণতা রয়েছে তখন আপনি শেয়ার ক্রয় করতে পারেন৷ সব সময় বড় বিনিয়োগকারীদের দিকে দৃষ্টি রাখবেন। 

বড় বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ার কেনে তাহলে ভাববেন এটি শেয়ার কেনার উপযুক্ত সময়। মার্কেটে যখন নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চের সময় আসে তখন নতুন শেয়ার কিনতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

অনেকেই শেয়ারে ব্যবসা করতে চান। তাইতো প্রতিনিয়ত শেয়ার বাজার A to Z, নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানতে চান। আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে শেয়ার বাজারের প্রত্যেকটি সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন